Header Ads

শিক্ষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। পেতে চলেছেন বকেয়া ইনক্রিমেন্ট!

নজরবন্দি ব্যুরো: রাজ্যের শিক্ষকদের বকেয়া ইনক্রিমেন্টের বিল জমা দিতে স্কুলগুলিকে নির্দেশ শিক্ষাদপ্তরের।
বেশ কিছুদিন আগে থেকে যারা ঘষিত সময়ের মধ্যে  বিএড করেননি সেই সব  শিক্ষকদের  বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট আটকে ছিল এতদিন। কিন্তু সেই সব শিক্ষকদের বিএড সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।

তাই সেই শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট খাতে বকেয়া টাকার বিল জমা দেওয়ার জন্য জেলা পরিদর্শকরা চিঠি দিলেন রাজ্যের স্কুলগুলিকে। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনারের নির্দেশে ডিআই’রা সেই চিঠি পাঠিয়েছেন। দ্রুত যাতে এই বিল জমা পড়ে যায়, সে ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চাকরিতে যোগ দেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে যাঁরা প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে পারেননি, তাঁরা ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের ইনক্রিমেন্ট পাওয়া থেকে এতদিন  বঞ্চিত ছিলেন। এই প্রশিক্ষণ না নেওয়ার কারণ হিসেবে একাধিক বিষয় উঠে এসেছিল। তার মধ্যে অন্যতম কারণ ছিল পর্যাপ্ত বিএড প্রশিক্ষণ কলেজ ছিল না।

কিন্তু বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, কলেজের সংখ্যা বাড়তেই অনেকেই ধীরে ধীরে নিজেদের বিএড ট্রেনিং সম্পন্ন করেছেন। ফলে এবার তাঁরা সেই বকেয়া ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার যোগ্যতাও অর্জন করেছেন। তবে এর জন্য বেতন কাঠামোর মেরামত করার দরকার ছিল তাঁদের। সেই কাজও করে ফেলেছেন শিক্ষকরা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তারপরও একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে।
শিক্ষকরা বলছেন, পর্যাপ্ত যোগ্যতা অর্জন করে ফেলার পরও বকেয়া টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে স্কুল।
তাই এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে দপ্তর। স্কুলগুলি যাতে তাদের শিক্ষকদের এই বকেয়া টাকার বিল দ্রুততার সঙ্গে ডিআই অফিসে পাঠিয়ে দেয়, তার জন্য জেলা পরিদর্শকদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। তবে এই বকেয়া টাকা কারও ৬০ হাজার তো কারও আবার লাখখানেক। এটা নির্ভর করছে কার কেমন বেতন কাঠামো, তার উপর।

শিক্ষামহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মধ্যে এই বকেয়া টাকা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে যাতে কোনও রকম অসন্তোষ না তৈরি হয়, তার জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে দপ্তর বা রাজ্য সরকার। আর চলতি মাসের মধ্যে এই বকেয়া বিল মিটিয়ে দিতে চায় সরকার। এমন খবর জানা গিয়েছে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.